Latest

Continue reading this blog to discover yourself

Wednesday, August 24, 2022

HTML - Definition & Introduction of Important Terms:

html
গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষাসমূহের সংজ্ঞা/পরিচয়:
  1. ISP = ISP এর পূর্ণ নাম হলো Internet Service Provider। এটি মূলত ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থাপনা করে থাকে।
  2. IP Address = ইন্টারনেটে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি নিজস্ব ঠিকানা থাকে। এই ঠিকানাকে আইপি অ্যাড্রেস বলে। IP Address on পূর্ণ অর্থ হলো Internet Protocol Address
  3. Upload = আপলোড হচ্ছে স্থানীয় সিস্টেম হতে নেটওর্যাকের সাহায্যে পূর্ববর্তী কোনো সিসোমে তথ্য পাঠানো।
  4. URL = ওয়েব পেজ এর অ্যাড্রেস কে. URL বলে। URL এর পূর্ণরূপ Uniform Resource Locator
  5. HTML = HTML হলো ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের ল্যাংগুয়েজ। HTML এর অর্থ হলো Hyper Text Markup Language
  6. HTML Tag = এইচটি এম এল ট্যাগ হলো এইচটিএমএল ডকুমেন্টের সাথে সংলগ্ন কোডিং এর মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশনাবলি।
  7. HTTP = HTTP অর্থ হলো Hyper Text Transfer Protocol । ইন্টারনেটে TCP/IP প্রোটোকলের মাধ্যমে যে প্রোটোকল ওয়েব সার্ভার ও ওয়েব ক্লায়েন্ট এর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে তাকে এইচটিটিপি (HTTP) বলে।
  8. Web Address = প্রতিটি ওয়েব সাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় ওয়ের আড্রেস রয়েছে যার সাহায্যে কোনো ওয়েব সাইটের পেইয়াগুলোতে ওয়েব ব্রাউজারে খুজে বের করা যায় তাকে ওয়েন অ্যাড্রেস বলে।
  9. Web Page = ওয়েব পেজ হলো এক ধরনের ওয়েব ডকুমেন্ট যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার জন্য বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা হয়।
  10. Website = একই ডোমেইনের অধীনে একাধিক ওয়েব পেজের মাকে ওয়েবসাইট বলে।
  11. Webpage Design = ওয়েব পেইজ ডিজাইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক কাঠামো তৈরি করা যেখান থেকে ভিজিটর প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারে।
  12. Browser = যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইনফরমেশন বা Web page প্রদর্শনের কাজ করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
  13. Web Portal = ওয়েব পোর্টাল হচ্ছে একটি ওয়েব সাইটের মধ্যে বিভিন্ন লিংক, কন্টেন্ট ও সার্ভিসের সংগ্রহ যা ব্যবহারকারীদের কে তথ্য জানানোর জন্য সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হয়।
  14. Web Server = ওয়েব সার্ভার বলতে বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দ্বারা তৈরি সিস্টেম বুঝায়, যার সাহায্যে এ সার্ভারে রক্ষিত কোন উপাত্ত বা তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাকসেস করা যায়।
  15. Website Publishing = ওয়েব পেজ বা সাইট তৈরি করার পর ওয়েব সার্ভারে হোস্টিং করার প্রক্রিয়াকে Website Publishing বলা হয়।
  16. Static Website = যে সকল ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েব টেকনোলজি লেডিং বা ওয়েব পেইজ চালু করার সময় পরিবর্তন করা যায় না তাকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলে।
  17. Dynamic Website = যে সকল ওয়েবসাইটে ডেটার মান ওয়েব টেকনোলজি লোডিং বা পেইজ চালু করার পর পরিবর্তন করা যায় তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে।
  18. Formatting = টেক্সট কে সঠিক আকৃতি বা রূপ প্রদান করে এবং দৃষ্টিনন্দন করে উপস্থাপন করার মাধ্যমে একটি ওয়েবপেজকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাকে ফরমেটিং বলে।
  19. Blogging = কোনো একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে কোনো বিষয়কে পাঠকদের মতামত প্রদানের জন্য তুলে ধরাকে ব্লগিং বলে।
  20. Local Webpage = যে সকল ওয়বপেজ নিজস্ব কম্পিউটার বা সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় তাদেরকে লোকাল ওয়েবপেজ বলে।
  21. Hyperlink = হাইপারলিঙ্ক হচ্ছে একটি ওয়েব পেইজের কোন একটি অংশের সাথে বা কোন পেইজের সাথে অন্যান্য পেইজের সংযোগ স্থাপন।

Monday, August 22, 2022

History of Inventing Numbers

সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাসঃ

History of Inventing Numbers

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত ভাষা এবং একই সাথে সংখ্যাকেও ব্যবহার করে থাকি আমাদের প্রয়োজনেই ভাষার সাথে সাথে আমরা সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। আদিবাসী মানুষ ছিলো, যাদের জীবনে সংখ্যার বিশেষ প্রয়োজন হয় নি বলে তারা সেভাবে গুনতে পারার প্রয়োজন অনুভব করে নি। কিন্তু যখন তারা কৃষিকাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে, গবাদি পশু পালন করতে শুরু করেছে। শস্যক্ষেত্রে চাষাবাদ করেছে, গ্রাম, নগর-বন্দর গড়ে তুলেছে, রাজস্ব আদায় করা শুরু করেছে তখন থেকে গণনার প্রয়োজন শুরু হয়েছে। সেজন্য সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস এবং ইতিহাস খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। 

আমাদের প্রয়োজনের কারণে এখন আমরা অনেক বড় বড় সংখ্যা ব্যবহার করতে পারি, গণিতের সাহায্যে সেগুলো নানাভাবে প্রক্রিয়া করতে পারি।

আদিম কালে মানুষেরা গাছের ডাল বা হাড়ে দাগ কেটে কিংবা কড়ি, শামুক বা নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে সংখ্যার হিসাব রেখেছে। তবে যখন আরো বড় সংখ্যা আরো বেশি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়েছে তখন সংখ্যার একটি লিখিত রূপ বা চিহ্ন সৃষ্টি করে নিয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মোটামুটি একই সময়ে সুমেরিয়ান-ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয় সভ্যতার শুরু হয় এবং এই দুই জায়গাতেই সংখ্যার প্রথম লিখিত রূপ পাওয়া গেছে। সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা ছিল ষাটভিত্তিক এবং মিশরীয় সংখ্যা ছিল দশভিত্তিক। বাবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতির রেশ পৃথিবীতে এখনো রয়ে গেছে, আমরা মিনিট এবং ঘণ্টার হিসেব করি ষাট দিয়ে এবং কোণের পরিমাপ করি ষাটের গুণিতক দিয়ে। সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ছিল, মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে ছিল না। দুই পদ্ধতিতেই কোনো কিছু না থাকলে সেটি বোঝানোর জন্য চিহ্ন ব্যবহার করা হতো কিন্তু সেটি মোটেও গাণিতিক সংখ্যা শূন্য (০) ছিল না।

পরবর্তীকালে আরো তিনটি সভ্যতার সাথে সাথে সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে উঠে, সেগুলো হচ্ছে মায়ান সভ্যতা, চীন, সভ্যতা এবং ভারতীয় সভ্যতা। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতি ছিল কুড়িভিত্তিক, চীন এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি ছিল দশভিত্তিক। (আমাদের দেশে যেসব মানুষ লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি তারা কাজ চালানোর জন্য মৌখিকভাবে কুড়িভিত্তিক এক ধরনের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকে।) মায়ান এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ব্যবহার করে। প্রয়োজনের কারণে সব সংখ্যা পদ্ধতিতেই শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন থাকলেও প্রকৃত অর্থে শুনাকে একটি সংখ্যা হিসেবে ধরে সেটিকে সংখ্যা পদ্ধতিতে নিয়ে এসে গণিতে ব্যবহার করে ভারতীয়রা এবং এই শূন্য আবিষ্কারকে আধুনিক গণিতের একটি অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

মায়ান এবং চীন সংখ্যা পদ্ধতি মাত্র দুই-তিনটি চিহ্ন ব্যবহার করে লেখা হতো। কিন্তু হাতে লেখার সময় পাশাপাশি অসংখ্য চিহ্ন বসানোর বিড়ম্বনা থেকে বাঁচার জন্য ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে 1 থেকে 9 পর্যন্ত নয়টি এবং শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন ব্যবহার করতে শুরু করে। আমরা এই চিহ্নগুলোকে অঙ্ক বা Digit বলি।

২৫০০ বছর আগে গ্রিকরা ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয়দের সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তাদের ১০ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে তুলেছিল। রোমানরা গ্রিক সভ্যতার পতন ঘটানোর পর গণিতের অভূতপূর্ব বিজ্ঞান থেমে যায়। রোমান সাম্রাজ্যে গণিতের সেরকম প্রয়োজন ছিল না। তাদের সংখ্যাগুলোতে আলাদা রূপ ছিল না এবং রোমান অক্ষর দিয়ে সেগুলো প্রকাশ করা হতো। অনাবশ্যক ভাবে জটিল এবং অবৈজ্ঞানিক রোমান সংখ্যা এখনো বেঁচে আছে এবং ঘড়ির ডায়াল বা অন্যান্য জায়গায় মাঝে মধ্যে আমরা তার ব্যবহার দেখতে পাই।

ইসলামি সভ্যতার বিকাশ হওয়ার পর ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি আরবদের মাধ্যমে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, যেটি আমাদের আধুনিক দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এখানে উল্লেখ্য যে শূন্য ব্যবহারের ফলে সংখ্যা পদ্ধতিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি হলেও খ্রিষ্টীয় শাসকেরা শূন্যকে শয়তানের রূপ বিবেচনা করায় দীর্ঘদিন সেটাকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। আমাদের হাতে দশ আঙুল থাকার কারণে দশভিত্তিক সংখ্যা গড়ে উঠলেও দুই, আট কিংবা ষোলোভিত্তিক সংখ্যাও আধুনিক প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

Sunday, August 14, 2022

ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ইএমআই (EMI) মুক্ত কেন?

Optical Fiber

ফাইবার অপটিক্স অন্তরক পদার্থ (যেসব পদার্থের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ সহজে চলাচল করে না, সেগুলোকে অন্তরক বলে) দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা EMI মুক্ত। কেননা ফাইবার অপটিক্স এর উপাদানগুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট এবং সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ। এছাড়াও ফাইবার অপটিক্স এর বহিরাবরণ হিসেবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলো প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও একটি অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক্স সর্বদাই EMI মুক্ত থাকে।

Saturday, August 6, 2022

রিং টপোলজি ব্যাখ্যা কর।

যে টপোলজিতে  সব কম্পিউটার একে অন্যের সাথে একই ধারাবাহিকতা যুক্ত থাকে তা হলো রিং টপোলজি। এ টপোলজিতে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্ক ভুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা প্রেরণের জন্য সমান অধিকার পায়। এ সংগঠনে সংকেতপ্রবাহ একমুখী হয় ফলে সংকেত সংঘর্ষ হয় না। একটি নোড সংকেত পাঠালে তা পরবর্তী নোডের কাছে যায়। সংকেতটি ঐ নোডের জন্য হলে সেটি সে নিজে গ্রহণ করে, অন্যথায় উক্ত নোড সংকেতকে তার পরবর্তী নোডের কাছে প্রেরণ করে। সঠিক নোডে না পৌছানো পর্যন্ত বৃত্তাকার নেটওয়ার্ক পথে সংকেত পরিভ্রমণ করে এবং এক পর্যায়ে তার কাঙ্ক্ষিত নোডে পৌঁছে যায়।