ভয়! এই শব্দের অনেক প্রতিশব্দ আছে, যেমনঃ শঙ্কা, আতঙ্ক, কুন্ঠা, সন্দেহ ইত্যাদি। আমার মনে হয় এই সবগুলো শব্দই কোনো কিছুকে অপ্রাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ, যেটা হবার কথা বা যেখানে যেটা থাকার কথা, সেটা যদি না হয় বা সেখানে যদি কিছু নাই থাকে তখনি আমাদের মনে চেপে বসে কুন্ঠা, আতঙ্ক ইত্যাদি। সম্ভবত তখন থেকেই আমরা মানুষেরা ভয় পেতে শুরু করি। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, বিষয়টি কিন্তু পশুপাখি বা উদ্ভিদকূলের মধ্যেও বিরাজমান। যেমনঃ যে গরুটি তার মালিকের খোয়াড়ে এক সুবোধ বালক সূলভ আচরণ করে, কেন সে পশুর হাটে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে? কোন গাছ টব ছেড়ে শেকড় কেন বাইরে নিয়ে আসে? আসলে এর সবই হচ্ছে অপ্রাপ্তি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভয়টা আসে কেন? নাই বা পূরণ হলো কিছু চাওয়া। একথা হয়তো আমাদের মতো সৃষ্টির সেরা জীবদের কিছু শেখা কথা। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে আমরাও তো জীব! অন্য জীবেরা কিন্তু স্বর্থপরের মতো নিজেরটাই চায়। মজার বিষয় হচ্ছে এই চাওয়া - ভয়, এসব থেকেই সৃষ্টি হয় বেপরোয়া মনোভাবের। "শুধু মানুষ না, প্রতিটি জীবকুলই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যখন সে ঘাবড়ে যায় - এক কথায় ভয় পেয়ে যায়।" তাহলে ভয় লাগে কেন? সত্যিকার অর্থে ভয় আসে নিজেকে উন্মোচন করতে। খাচার যে পাখিটা দরজা খোলা পায়, হাজার আপত্তি বা ভয় থাকা সত্ত্বেও সে কিন্তু উড়াল দেয় নিজেকে উন্মুক্ত করতে।
এরকম আরো লেখা পড়তে Thoughts লিংকে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment