বাটপার শব্দটির সমর্থক শব্দ হচ্ছে প্রতারক। প্রতারক শব্দটিকে আরও বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে - যিনি অন্যের সাথে ছলনার আশ্রয় নেন। এখানে প্রশ্ন করা যায়, মানুষ কখন ছলনার আশ্রয় নেয়? উত্তরে বলা যেতে পারে, যখন সে তার প্রতিবন্ধকতা গুলো বুঝতে পারে। আচ্ছা এই প্রতিবন্ধকতা গুলো সৃষ্টি হয় কিসের ভিত্তিতে? উত্তর হচ্ছে - কোনো চাহিদার অপূর্ণতা থেকে। মানে, আমার চাহিদা আছে, কিন্তু ঐ জিনিসটা গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই! গ্রহণ করার ক্ষমতা যেকোনো কারনেই অপ্রতুল হতে পারে। এখানে শুধু অর্থ দিয়ে যাচাই করা যাবে না, বরং মানসিক, শারিরিক সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আনতে হবে। তার মানে একটু সাজিয়ে লিখলে এমন হয় যে, কোনো ব্যক্তি হয়তো মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে অথচ বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে তার মুখে ছোট্ট একটা হাসি সর্বদা লেগেই আছে! কোনো মানুষ শারিরিক ভাবে দুর্বল অথচ হুমকি ধামকিতে সে সবাইকে নাচিয়ে বেড়ায়! কেউ হয়তো অর্থ ধার নিয়েছে, কিন্তু সংকুলান না হওয়ায় পরিশোধ করতে অক্ষম! বাস্তবিকপক্ষে এরা সবাই বাটপার! যে পরিবারের কাছে মিথ্যা হাসে, সে পরিবারের সাথে প্রতারণা করছে, যে নিজেকে মিথ্যা প্রকাশ করছে সেও প্রতারণা করছে, আবার যে সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে পারিনি সেও কথার খেলাপ করেছে! এই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক অজানা বেদনার কাহিনী লুকিয়ে আছে। হ্যাঁ, আমাদের সুবিধাভোগী সমাজ এই অজানা কাহিনীর খোঁজ নেয় না। আর এভাবেই শত বেদনার গল্প মাটিচাপা দিয়ে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ হয়ে উঠছে বাটপার!
Khalid’s Letter is a blog based on personal perception. The content you find here will help you to expand your own knowledge of different perspective, improve your thinking skills, and inspire your creativity to get your work done into the world. This isn’t just about blog; it’s the concept that will keep you top in every place!
Friday, July 15, 2022
মানুষ বাটপার হয় কেন?
বাটপার শব্দটির সমর্থক শব্দ হচ্ছে প্রতারক। প্রতারক শব্দটিকে আরও বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে - যিনি অন্যের সাথে ছলনার আশ্রয় নেন। এখানে প্রশ্ন করা যায়, মানুষ কখন ছলনার আশ্রয় নেয়? উত্তরে বলা যেতে পারে, যখন সে তার প্রতিবন্ধকতা গুলো বুঝতে পারে। আচ্ছা এই প্রতিবন্ধকতা গুলো সৃষ্টি হয় কিসের ভিত্তিতে? উত্তর হচ্ছে - কোনো চাহিদার অপূর্ণতা থেকে। মানে, আমার চাহিদা আছে, কিন্তু ঐ জিনিসটা গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই! গ্রহণ করার ক্ষমতা যেকোনো কারনেই অপ্রতুল হতে পারে। এখানে শুধু অর্থ দিয়ে যাচাই করা যাবে না, বরং মানসিক, শারিরিক সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আনতে হবে। তার মানে একটু সাজিয়ে লিখলে এমন হয় যে, কোনো ব্যক্তি হয়তো মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে অথচ বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে তার মুখে ছোট্ট একটা হাসি সর্বদা লেগেই আছে! কোনো মানুষ শারিরিক ভাবে দুর্বল অথচ হুমকি ধামকিতে সে সবাইকে নাচিয়ে বেড়ায়! কেউ হয়তো অর্থ ধার নিয়েছে, কিন্তু সংকুলান না হওয়ায় পরিশোধ করতে অক্ষম! বাস্তবিকপক্ষে এরা সবাই বাটপার! যে পরিবারের কাছে মিথ্যা হাসে, সে পরিবারের সাথে প্রতারণা করছে, যে নিজেকে মিথ্যা প্রকাশ করছে সেও প্রতারণা করছে, আবার যে সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে পারিনি সেও কথার খেলাপ করেছে! এই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক অজানা বেদনার কাহিনী লুকিয়ে আছে। হ্যাঁ, আমাদের সুবিধাভোগী সমাজ এই অজানা কাহিনীর খোঁজ নেয় না। আর এভাবেই শত বেদনার গল্প মাটিচাপা দিয়ে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ হয়ে উঠছে বাটপার!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment