Mistake হচ্ছে যন্ত্রণার! কিন্তু যতই সময় যেতে থাকে তা ধীরে ধীরে পরিণত হতে থাকে এক গুচ্ছ Experience এ। যার পরিমার্জিত বা পাঠ্যপুস্তকের রূপকে বলা হয় Lesson.
Khalid’s Letter is a blog based on personal perception. The content you find here will help you to expand your own knowledge of different perspective, improve your thinking skills, and inspire your creativity to get your work done into the world. This isn’t just about blog; it’s the concept that will keep you top in every place!
Wednesday, November 23, 2022
Wednesday, November 16, 2022
সত্যের পক্ষে থাকলে সৃষ্টিকর্তাই তাকে পুরষ্কৃত করে
মুক্তিযোদ্ধা মানে কোনো দলের সম্পত্তি না, বরং দেশের সম্পদ। দেশের ক্রান্তিলগ্নে এসব সূর্য সন্তানেরা নিজের জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পড়েছিলো এক অসম যুদ্ধের ময়দানে। কেবলমাত্র তাদের দুঃসাহসিকতায় আমরা আজ পেয়েছি এই বাংলাদেশ। তবে, আজ অসংখ্য রাজাকারেরা মুক্তিযুদ্ধের বানোয়াট সনদ গলায় ঝুলিয়ে বাহবার তকমা লাগিয়ে ফয়দা লুটছে। অথচ, অবহেলায় রয়ে গেছে দেশের প্রকৃত সূর্য সন্তানেরা। হয়তো তারা কিছুই চায় না, তাই বলে কি মৃত্যুর পরও " গার্ড অব অনার " পাওয়ার অযোগ্য তারা?
আমার আব্বুর আজ জানাযা হলো। কোনো কিছুতেই আমার অভিযোগ ছিলো না। সৃষ্টিকর্তার ডাকে তো যেতেই হবে। কিন্তু বুক ফাটা এক আর্তনাদ ছিলো, সে দেশের জন্য সংগ্রাম করছে, সে একটা " গার্ড অব অনার " পেতে পারতো না?
জানিনা এটা দুধের সাদ ঘোলে মেটানো কিনা? তবে আমি জানাযার ময়দানে যখন দেখলাম ড্রেস, সোল্ডার, বুট পরা আমার কলেজিয়েটের, আমার সন্তানেরা দুই সারিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, আমার আত্মা কেপে উঠেছিলো! আমি বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। সকলের অনুরোধেও বাবার বড় সন্তান হিসেবে কথা আর মুখ থেকে বের হচ্ছিলো নাহ! এ কিসের অনুভূতি জানি না, তবে আমার ছেলেরা এভাবে সারিতে দাঁড়িয়ে আমার মতো এক নগন্য স্কুল শিক্ষকের পিতাকে " গার্ড অব অনার " দিবে, এমন তো হবার কথা ছিলো না!
জানিনা, এটাই হয়তো, আল্লাহর ইশারা। আমার মনে আজ আর আক্ষেপ নেই। আমি শত জনম ধরে - আব্বু আপনার সন্তান হিসেবে জন্ম নিতে চাই।
আমি এটাই আজ বুঝে গেছি, সত্যের পক্ষে থাকলে সৃষ্টিকর্তাই তাকে পুরষ্কৃত করে।
Thursday, November 10, 2022
Success will come
একদল পর্যটক কুমিরের খামার পরিদর্শন করছিলেন এবং তারা একটি কুমিরের হ্রদের মাঝখানে একটি ভাসমান কাঠামোতে ছিলেন। খামারের মালিক চিৎকার করে বললেন: "যে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তীরে সাঁতার কাটবে, সে পাবে 10 মিলিয়ন ডলার। পিন পতন নীরাবতা ছিলো।
হঠাৎ এক লোক পানিতে ঝাঁপ দিল। তাকে কুমির তাড়া করে, অথচ সে ভাগ্যক্রমে অক্ষত ছিল। তখন মালিক ঘোষণা করলেন: "আমাদের মধ্যে একজন বিজয়ী আছে!!!"
পুরষ্কার গ্রহণের পর, লোকটি এবং তার স্ত্রী হোটেলের ঘরে ফিরে আসেন। লোকটি তার স্ত্রীকে বলে: "এই শুনছো, আমি নিজে কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়িনি ... কেউ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে !!!"
তার স্ত্রী হেসে ঠান্ডা গলায় বললেন: "এটা আমিই ছিলাম!"
গল্পের নৈতিকতা: "প্রতিটি সফল পুরুষের পিছনে, তাকে একটু ধাক্কা দেওয়ার জন্য সর্বদা একজন মহিলা থাকে"
আমার আরও লেখা পড়তে ভিজিট করোঃ
https://khalidsliterature.blogspot.com
Wednesday, November 9, 2022
Freedom is happiness
এক ধনী ব্যাক্তি একদিন ভ্রমনে সাগর পাড়ের এক গ্রামে এসে হাজির হলো। সেখানে গিয়ে তিনি স্থানীয় জেলেদের তাদের মাছের গুণমানের জন্য প্রশংসা করলেন এবং তারপরে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন? এটি ধরার জন্য আপনার কত সময় দরকার পড়ে? জেলেরা তাকে এক কণ্ঠে উত্তর দিয়েছিল: "খুব বেশি সময় লাগে না"
তখন তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন : আপনারা কেন বেশি সময় এই মাছের জন্য ব্যয় করেন না? উত্তরে জেলেরা স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে তাদের সামান্য কিছু মাছেই পরিবারের জন্য যথেষ্ট হবে! তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন: তাহলে আপনারা বাকিটা সময় কী করেন? তারা উত্তর দিল: আমরা পরিবারের সাথে সময় কাটাই ...আমরা আমাদের বাচ্চাদের সাথে খেলি। আমরা আমাদের পরিবাররের সাথে একসাথে খাই এবং সন্ধ্যায় আমরা আমাদের বন্ধুদের সাথে দেখা করি .. আমরা মজা করি, হাসি এবং কিছু গানও করি।
তখন ধনী লোকটি বাধা দিয়ে বলে: আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছি, চাইলে আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি!
আপনাকে প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে মাছ ধরা শুরু করতে হবে ... এবং তারপরে আরও বড় রিটার্নের জন্য অতিরিক্ত মাছ বিক্রি করতে হবে এবং একটি বড় ফিশিং বোট কিনতে হবে। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলো: তাহলে কী? তিনি জবাব দিলেন: বড় নৌকা এবং অতিরিক্ত অর্থের সাহায্যে আপনি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় নৌকা কিনতে পারেন, এবং যতক্ষণ না আপনার কাছে কোনও মাছ ধরার জাহাজ এর বহর না আসে ততদিন পর্যন্ত আপনি সরাসরি কারখানার সাথে আলোচনা করবেন, এবং সম্ভবত আপনি নিজের কারখানাও খুলে ফেলতে পারবেন, এবং আপনি এই গ্রাম ছেড়ে শহর, বা রাজধানী তে চলে যেতে সক্ষম হবেন। সেখান থেকে আপনি আপনার বিশাল বিশাল প্রকল্পগুলি শুরু করতে সক্ষম হবেন
জেলেরা ধনী লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলো: এটি অর্জন করার জন্য আমাদের কতটা সময় প্রয়োজন? তিনি জবাব দিলেন: প্রায় পঁচিশ বছর বা সম্ভবত পঁচিশ বছর। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলো: এর পরে কী? তিনি একটু মুচকি হেসে জবাব দিলেন: যখন আপনার ব্যবসা বাড়বে, আপনি হবেন কোটি পতি! তারা তাকে অবাক করে জিজ্ঞাসা করলেন: ওহ সত্যিই? এবং এর পরে আমরা কী করব?
জবাবে ধনী লোকটি প্রশান্তির স্বরে বললেন: তারপরে আপনি অবসর নিতে উপকূলের একটি গ্রামে চুপচাপ থাকতে পারেন, দেরি করে ঘুমাতে পারেন .. আপনি আপনার বাচ্চাদের সাথে খেলেন। এবং আপনি আপনার পরিবারের সাথে খাওয়া দাওয়া করেন। এবং বন্ধুদের সাথে উপভোগ করা রাতগুলি কাটান।
জেলেরা যথাযথ সম্মান এবং প্রশংসা করে উত্তর দিয়েছিল - তবে আমরা এখন ঠিক তাই-ই করছি, সুতরাং, আমার পঁচিশ বছর নষ্ট করার যুক্তিটা কী?
Monday, November 7, 2022
Proper place is need for proper judgment
একজন বাবা তার মেয়েকে বলেছিলেন, "স্নাতক পাস করায় তোমাকে অভিনন্দন। আমি চাই তোমাকে একটি নতুন গাড়ি কিনে দিতে। তবে এটি নেওয়ার আগে, আমার পুরাতন গাড়িটি শহরের কোনও গাড়ি ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে বিক্রি করতে হবে।"
মেয়েটি শহরের একটা গাড়ি বিক্রেতার কাছে গেল এবং মেয়েটি ফিরে এসে বাবাকে বলল: "তারা আমাকে ১০,০০০ টাকা অফার করেছিল কারণ এটি দেখতে খুব পুরানো।"
বাবা বললেন: "ঠিক আছে, এখন গ্যারেজে নিয়ে যাও"।
মেয়েটি তার বাবার কাছে ফিরে এসে বলল: "গ্যারেজে ৫০,০০০ টাকা অফার দিয়েছে"।
এবার, বাবা তাকে গাড়ি বিশেষজ্ঞদের একটি ক্লাবে যোগ দিতে বলল এবং তাদের গাড়িটি দেখানোর জন্য বলল।
মেয়েটি ক্লান্ত হয়ে, আশা ছেড়ে গাড়ি ক্লাবে চলে গেল।
কিন্তু, কয়েক ঘন্টা পরে সে বাবার কাছে ফিরে এসে আনন্দে বিমোহিত হয়ে বলল, "বাবা-বাবা, ক্লাবের কিছু লোক আমাকে গাড়িটির জন্য ১০ লক্ষ্য টাকা অফার করেছিলেন কারণ এটি একটি বিরল গাড়ি যা ভাল অবস্থায় রয়েছে।"
তারপরে বাবা বলল, "আমি তোমাকে জানাতে চেয়েছিলাম যে, যদি সঠিক জায়গায় না থাকো তবে তোমার কোনও কিছুরই মূল্য পাবে না। তখন রাগ করবে না বা হাল ছেড়ে দিবে না। আর এর অর্থ হচ্ছে তুমি ভুল জায়গায় আছো! তোমাকে অবশ্যই সঠিক জায়গার সন্ধানে ছুটতে হবে। কেননা সঠিক জায়গায় সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া যায়!"
Success Law | সফলতার সূত্র
জীবনে তুমি যদি সফল হতে চাও, একটা নিয়মকে মেনে চলতে হবে...নিজের সাথে কখনো মিথ্যা বলা চলবে না। 🙂
What do you mean by love?
কিছুদিন আগে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে, আমার খুব কাছের এক মানুষ জিজ্ঞেস করে বসে - What do you mean by love?
আমি কিন্তু প্রায় ৫/৭ মিনিট চুপ ছিলাম! উত্তর দিতে পারিনি।
তবে সেই মুহূর্তে সাময়িক একটা গবেষণা চালিয়েছিলাম। যার ফলাফল আজ দিবো। আমি জানি সে দেখছে এই পোস্ট। জানিনা কতটা অর্থবহ হবে, তবে প্রশ্নের উত্তর কিন্তু যার যার ফিলোসোফি।
ভালোবাসার ৩টি পর্যায় আছে। ১৩-২৮/২৯ এই সময়টায় ভালোবাসা মানে আবেগ। এই বয়সের সবাই ভালোবাসাকে আবেগ দিয়েই যাচাই করে। ৩০-৫৩/৫৪ সময়টা অনেকটা Give & Take এমন হয়ে থাকে। অর্থাৎ উদারচিন্তার লোপ পায়, বিনিময় চলে আসে। ৫৫- বাকিটা সময় ভালোবাসা মানেই হচ্ছে সহযোগিতা!
এছাড়া, আরো অনেক মতাদর্শ নিয়েছি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে, অনেকের জীবন পর্যালোচনা করেছি.....অবশেষে আমার ফিলোসোফি এটাই বলে, ভালোবাসা মানে "কিচ্ছুই না!"
Monday, October 24, 2022
Humans humanity
ফ্রান্স সাম্রাজ্যে লুই ১৪তম এর শাসনামলে মাত্র একটি রুটি চুরি করার জন্য এক দরিদ্র লোককে "অনাহারে মৃত্যু" দেওয়া হয়েছিল। চিত্রের মহিলাটি ছিল তার একমাত্র কন্যা এবং তার সেলের একমাত্র দর্শনার্থী। তাকে প্রতিদিন বৃদ্ধের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এমনভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করা হতো যে কোনও খাবার ভিতরে নেওয়ার সুযোগ ছিলো না।
এভাবে প্রায় চার মাস পার হয়ে গেলেও লোকটি তার ওজন হ্রাস না করে বেঁচে ছিল, তখন কর্তৃপক্ষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং সেলে তার উপর গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করে। এসময় তারা জানতে পারে যে, চিত্রের মেয়েটি তার বাবাকে তার নিজের শিশুর দুধের ভাগ করে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে। বিচারকরা তখন তার বাবার প্রতি মহিলার মমতা ও ভালবাসা উপলব্ধি করে, এবং বাবাকে ক্ষমা করে মুক্তি দেয়।
Friday, September 23, 2022
Sunday, September 4, 2022
বিশ্বগ্রামের ধারণা - Concept of Global Village
‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়' আমাদের স্বপ্নের গ্রামের ধারণা। এখানে সবাই সবাইকে চেনেন, প্রতিদিন সবার সাথে সবার দেখা হয়, রাত পোহালে একজন অন্যজনের খবরাখবর নেন, কুশলাদি বিনিময় করেন, সুখ ও দুঃখের ভাগীদার হন। গ্রামের মানুষের যে জীবনাচার, প্রত্যেকের প্রতি প্রত্যেকের যে মমত্ববোধ বা আন্তরিকতা রয়েছে শহুরে জীবনে তা হয়তো সম্ভব নয়। সারা বিশ্বের মানুষ ভৌগোলিক দূরত্বে থেকেও যদি গ্রামীণ পরিবেশের মতো একে অপরের পাশাপাশি থাকত তাহলে অর্থনৈতিক, জাতিগত, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ আর ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ গড়ে সর্বত্র নিবিড় ও সামষ্টিক উন্নয়ন সম্ভব হতো। বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজের ধারণার সূত্রপাত মূলত এসব চিন্তাধারাকে কেন্দ্র করেই।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং তথ্যের নিবিড় আদান-প্রদানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক পরিচিতি ও সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ় হচ্ছে এবং প্রথমবারের মতো বিশ্বগ্রাম সৃজনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। আমরা নিজেরাই অনুভব করতে পারি যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমোন্নয়নের কারণেই আমরা বিশ্ববাসী এখন কেউ কারো থেকে দূরে কিংবা বিচ্ছিন্ন নই।
বিশিষ্ট কানাডিয়ান দার্শনিক হার্বার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান (Herbert Marshal McLuhan) ষাটের দশকে সর্বপ্রথম কীভাবে বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি এবং তথ্যের দ্রুত বিচরণ, স্থান এবং সময়ের বিলুপ্তি ঘটিয়ে সমগ্র বিশ্বকে একটি গ্রাম বা ভিলেজে রূপান্তরিত করতে পারে সেই ধারণাটি সবার সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। গ্লোবাল ভিলেজ হলো এমন একটি পরিবেশ ও সমাজ যেখানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করাসহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির এই বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার কারণে অবাধ ও সহজলভ্য তথ্য প্রবাহের উৎস তৈরি থেকে শুরু করে সার্বিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, দূরশিক্ষণ, চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধিসহ বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক কথায় সভ্যতার সুফল বিশ্বের সকল মানুষের দোরগোড়ায় দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য মানুষের এ ব্যাপারে সচেতনতা, সক্ষমতা, আগ্রহ, জ্ঞান, দক্ষতা এবং উপযোগিতা থাকা প্রয়োজন। এর সাথে হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ততা এবং বিশ্বাসযোগ্য ডেটা বা তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা থাকতে হবে।
অবশ্য এ প্রক্রিয়ায় তথ্য উন্মুক্ত ও সহজলভ্য করার কারণে ক্ষতিকারক এবং অসত্য তথ্য অনুপ্রবেশের আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, যার কারণে সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় অনৈতিক হস্তক্ষেপ, সাইবার আক্রমণ এবং প্রযুক্তি বিভেদ-বৈষম্যেরও জন্ম দিচ্ছে। পৃথিবীর গুটিকতক তথ্য প্রযুক্তির বড় বড় কোম্পানি তথ্য নিয়ন্ত্রণ করে পৃথিবীর ভারসাম্যকে বিপদগ্রস্ত করে তোলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Wednesday, August 24, 2022
HTML - Definition & Introduction of Important Terms:
- ISP = ISP এর পূর্ণ নাম হলো Internet Service Provider। এটি মূলত ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থাপনা করে থাকে।
- IP Address = ইন্টারনেটে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি নিজস্ব ঠিকানা থাকে। এই ঠিকানাকে আইপি অ্যাড্রেস বলে। IP Address on পূর্ণ অর্থ হলো Internet Protocol Address
- Upload = আপলোড হচ্ছে স্থানীয় সিস্টেম হতে নেটওর্যাকের সাহায্যে পূর্ববর্তী কোনো সিসোমে তথ্য পাঠানো।
- URL = ওয়েব পেজ এর অ্যাড্রেস কে. URL বলে। URL এর পূর্ণরূপ Uniform Resource Locator
- HTML = HTML হলো ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের ল্যাংগুয়েজ। HTML এর অর্থ হলো Hyper Text Markup Language
- HTML Tag = এইচটি এম এল ট্যাগ হলো এইচটিএমএল ডকুমেন্টের সাথে সংলগ্ন কোডিং এর মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশনাবলি।
- HTTP = HTTP অর্থ হলো Hyper Text Transfer Protocol । ইন্টারনেটে TCP/IP প্রোটোকলের মাধ্যমে যে প্রোটোকল ওয়েব সার্ভার ও ওয়েব ক্লায়েন্ট এর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে তাকে এইচটিটিপি (HTTP) বলে।
- Web Address = প্রতিটি ওয়েব সাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় ওয়ের আড্রেস রয়েছে যার সাহায্যে কোনো ওয়েব সাইটের পেইয়াগুলোতে ওয়েব ব্রাউজারে খুজে বের করা যায় তাকে ওয়েন অ্যাড্রেস বলে।
- Web Page = ওয়েব পেজ হলো এক ধরনের ওয়েব ডকুমেন্ট যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার জন্য বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা হয়।
- Website = একই ডোমেইনের অধীনে একাধিক ওয়েব পেজের মাকে ওয়েবসাইট বলে।
- Webpage Design = ওয়েব পেইজ ডিজাইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক কাঠামো তৈরি করা যেখান থেকে ভিজিটর প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারে।
- Browser = যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইনফরমেশন বা Web page প্রদর্শনের কাজ করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
- Web Portal = ওয়েব পোর্টাল হচ্ছে একটি ওয়েব সাইটের মধ্যে বিভিন্ন লিংক, কন্টেন্ট ও সার্ভিসের সংগ্রহ যা ব্যবহারকারীদের কে তথ্য জানানোর জন্য সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হয়।
- Web Server = ওয়েব সার্ভার বলতে বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দ্বারা তৈরি সিস্টেম বুঝায়, যার সাহায্যে এ সার্ভারে রক্ষিত কোন উপাত্ত বা তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাকসেস করা যায়।
- Website Publishing = ওয়েব পেজ বা সাইট তৈরি করার পর ওয়েব সার্ভারে হোস্টিং করার প্রক্রিয়াকে Website Publishing বলা হয়।
- Static Website = যে সকল ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েব টেকনোলজি লেডিং বা ওয়েব পেইজ চালু করার সময় পরিবর্তন করা যায় না তাকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলে।
- Dynamic Website = যে সকল ওয়েবসাইটে ডেটার মান ওয়েব টেকনোলজি লোডিং বা পেইজ চালু করার পর পরিবর্তন করা যায় তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে।
- Formatting = টেক্সট কে সঠিক আকৃতি বা রূপ প্রদান করে এবং দৃষ্টিনন্দন করে উপস্থাপন করার মাধ্যমে একটি ওয়েবপেজকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাকে ফরমেটিং বলে।
- Blogging = কোনো একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে কোনো বিষয়কে পাঠকদের মতামত প্রদানের জন্য তুলে ধরাকে ব্লগিং বলে।
- Local Webpage = যে সকল ওয়বপেজ নিজস্ব কম্পিউটার বা সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় তাদেরকে লোকাল ওয়েবপেজ বলে।
- Hyperlink = হাইপারলিঙ্ক হচ্ছে একটি ওয়েব পেইজের কোন একটি অংশের সাথে বা কোন পেইজের সাথে অন্যান্য পেইজের সংযোগ স্থাপন।
Monday, August 22, 2022
History of Inventing Numbers
সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাসঃ
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত ভাষা এবং একই সাথে সংখ্যাকেও ব্যবহার করে থাকি আমাদের প্রয়োজনেই ভাষার সাথে সাথে আমরা সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। আদিবাসী মানুষ ছিলো, যাদের জীবনে সংখ্যার বিশেষ প্রয়োজন হয় নি বলে তারা সেভাবে গুনতে পারার প্রয়োজন অনুভব করে নি। কিন্তু যখন তারা কৃষিকাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে, গবাদি পশু পালন করতে শুরু করেছে। শস্যক্ষেত্রে চাষাবাদ করেছে, গ্রাম, নগর-বন্দর গড়ে তুলেছে, রাজস্ব আদায় করা শুরু করেছে তখন থেকে গণনার প্রয়োজন শুরু হয়েছে। সেজন্য সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস এবং ইতিহাস খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
আমাদের প্রয়োজনের কারণে এখন আমরা অনেক বড় বড় সংখ্যা ব্যবহার করতে পারি, গণিতের সাহায্যে সেগুলো নানাভাবে প্রক্রিয়া করতে পারি।
আদিম কালে মানুষেরা গাছের ডাল বা হাড়ে দাগ কেটে কিংবা কড়ি, শামুক বা নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে সংখ্যার হিসাব রেখেছে। তবে যখন আরো বড় সংখ্যা আরো বেশি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়েছে তখন সংখ্যার একটি লিখিত রূপ বা চিহ্ন সৃষ্টি করে নিয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মোটামুটি একই সময়ে সুমেরিয়ান-ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয় সভ্যতার শুরু হয় এবং এই দুই জায়গাতেই সংখ্যার প্রথম লিখিত রূপ পাওয়া গেছে। সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা ছিল ষাটভিত্তিক এবং মিশরীয় সংখ্যা ছিল দশভিত্তিক। বাবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতির রেশ পৃথিবীতে এখনো রয়ে গেছে, আমরা মিনিট এবং ঘণ্টার হিসেব করি ষাট দিয়ে এবং কোণের পরিমাপ করি ষাটের গুণিতক দিয়ে। সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ছিল, মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে ছিল না। দুই পদ্ধতিতেই কোনো কিছু না থাকলে সেটি বোঝানোর জন্য চিহ্ন ব্যবহার করা হতো কিন্তু সেটি মোটেও গাণিতিক সংখ্যা শূন্য (০) ছিল না।
পরবর্তীকালে আরো তিনটি সভ্যতার সাথে সাথে সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে উঠে, সেগুলো হচ্ছে মায়ান সভ্যতা, চীন, সভ্যতা এবং ভারতীয় সভ্যতা। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতি ছিল কুড়িভিত্তিক, চীন এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি ছিল দশভিত্তিক। (আমাদের দেশে যেসব মানুষ লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি তারা কাজ চালানোর জন্য মৌখিকভাবে কুড়িভিত্তিক এক ধরনের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকে।) মায়ান এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ব্যবহার করে। প্রয়োজনের কারণে সব সংখ্যা পদ্ধতিতেই শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন থাকলেও প্রকৃত অর্থে শুনাকে একটি সংখ্যা হিসেবে ধরে সেটিকে সংখ্যা পদ্ধতিতে নিয়ে এসে গণিতে ব্যবহার করে ভারতীয়রা এবং এই শূন্য আবিষ্কারকে আধুনিক গণিতের একটি অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মায়ান এবং চীন সংখ্যা পদ্ধতি মাত্র দুই-তিনটি চিহ্ন ব্যবহার করে লেখা হতো। কিন্তু হাতে লেখার সময় পাশাপাশি অসংখ্য চিহ্ন বসানোর বিড়ম্বনা থেকে বাঁচার জন্য ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে 1 থেকে 9 পর্যন্ত নয়টি এবং শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন ব্যবহার করতে শুরু করে। আমরা এই চিহ্নগুলোকে অঙ্ক বা Digit বলি।
২৫০০ বছর আগে গ্রিকরা ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয়দের সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তাদের ১০ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে তুলেছিল। রোমানরা গ্রিক সভ্যতার পতন ঘটানোর পর গণিতের অভূতপূর্ব বিজ্ঞান থেমে যায়। রোমান সাম্রাজ্যে গণিতের সেরকম প্রয়োজন ছিল না। তাদের সংখ্যাগুলোতে আলাদা রূপ ছিল না এবং রোমান অক্ষর দিয়ে সেগুলো প্রকাশ করা হতো। অনাবশ্যক ভাবে জটিল এবং অবৈজ্ঞানিক রোমান সংখ্যা এখনো বেঁচে আছে এবং ঘড়ির ডায়াল বা অন্যান্য জায়গায় মাঝে মধ্যে আমরা তার ব্যবহার দেখতে পাই।
ইসলামি সভ্যতার বিকাশ হওয়ার পর ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি আরবদের মাধ্যমে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, যেটি আমাদের আধুনিক দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এখানে উল্লেখ্য যে শূন্য ব্যবহারের ফলে সংখ্যা পদ্ধতিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি হলেও খ্রিষ্টীয় শাসকেরা শূন্যকে শয়তানের রূপ বিবেচনা করায় দীর্ঘদিন সেটাকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। আমাদের হাতে দশ আঙুল থাকার কারণে দশভিত্তিক সংখ্যা গড়ে উঠলেও দুই, আট কিংবা ষোলোভিত্তিক সংখ্যাও আধুনিক প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।
Sunday, August 14, 2022
ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ইএমআই (EMI) মুক্ত কেন?
ফাইবার অপটিক্স অন্তরক পদার্থ (যেসব পদার্থের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ সহজে চলাচল করে না, সেগুলোকে অন্তরক বলে।) দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা EMI মুক্ত। কেননা ফাইবার অপটিক্স এর উপাদানগুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট এবং সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ। এছাড়াও ফাইবার অপটিক্স এর বহিরাবরণ হিসেবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলো প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও একটি অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক্স সর্বদাই EMI মুক্ত থাকে।
Saturday, August 6, 2022
রিং টপোলজি ব্যাখ্যা কর।
যে টপোলজিতে সব কম্পিউটার একে অন্যের সাথে একই ধারাবাহিকতা যুক্ত থাকে তা হলো রিং টপোলজি। এ টপোলজিতে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্ক ভুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা প্রেরণের জন্য সমান অধিকার পায়। এ সংগঠনে সংকেতপ্রবাহ একমুখী হয় ফলে সংকেত সংঘর্ষ হয় না। একটি নোড সংকেত পাঠালে তা পরবর্তী নোডের কাছে যায়। সংকেতটি ঐ নোডের জন্য হলে সেটি সে নিজে গ্রহণ করে, অন্যথায় উক্ত নোড সংকেতকে তার পরবর্তী নোডের কাছে প্রেরণ করে। সঠিক নোডে না পৌছানো পর্যন্ত বৃত্তাকার নেটওয়ার্ক পথে সংকেত পরিভ্রমণ করে এবং এক পর্যায়ে তার কাঙ্ক্ষিত নোডে পৌঁছে যায়।
Sunday, July 31, 2022
Friendship | Short Stories
ফ্রেন্ডশিপ (ফল ইন ডেস্পারেট অন বিলিভ)
খালিদ বিন মাসুদ
এক. (যাত্রী ছাউনিটার পাশে)
ভাদ্র মাসের প্রচন্ড রোদে হেলমেট পরে আর এক মুহূর্তও বাইক চালাতে ইচ্ছে করছে না। পথ যেনো শেষই হচ্ছে না! অথচ অন্য সময় শতকিলো বাইক চালাতে আগ্রহের কমতি থাকে না ভিকির। বাইক চালাতে চালাতে ভিকি এক সময় আপন মনে গুনগুন করে বলে উঠলো - আর কতো সময় লাগবে ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছাতে? যদিও অন্য দিনের তুলনায় আজকের দিনটা ভিকির জন্য কিছুটা স্পেশালও বটে। তাছাড়া ছোট ভাই শিহাবের সাহসের উপর ভর করে বেশ কিছুটা আগবাড়িয়েই এই পথ চলা।
অল্প সময় কল্পনায় চলে গেলেও সামনে দৃশ্যমান হয়ে উঠলো ক্যান্টনমেন্ট। ভিকি পিকাপ বাড়িয়ে এগিয়ে চললো।
যাত্রী ছাউনিটার পাশে এসে বাইক থামিয়ে হেলমেট খুলে এক গভীর শ্বাস ছেড়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে বেঞ্চে বসে টিস্যু দিয়ে মুখের ঘাম মুছতে মুছতে ভিকি লক্ষ্য করলো বেঞ্চের অন্য কোনে একটি মেয়ে বোরকা পরে বসে আছে। ভিকি একবার মেয়েটিকে দেখে অন্যদিকে তাকিয়ে গুনগুন করে গাইতে লাগলো লতা মঙ্গসকারের গান - বাহার ছে কই আন্দার আ না ছাকে, আন্দার ছে কই বাহার যা না ছাকে, ছোচো কাভি এইছা হো তো কিয়া হো, হাম তুম এক কামরে মে বান্দ হো...
দেখতে দেখতে মিনিট পাঁচেক সময় পার হয়ে গেলো, ভিকি এবার একটু অস্থির হয়ে পকেটে হাত দিয়ে মোবাইলটা বের করতে গিয়ে মনে পড়লো সে তো ফোনটি বাসায় চার্জে রেখে এসেছে! এখন উপায়! এবার ভিকি একটু কেষে বেঞ্চের কোনের মেয়েটিকে বললো - এক্সকিউজ মি, ম্যাম, হাভ ইউ ফোন? মেয়েটি নির্পলক ভিকির দিকে তাকিয়ে রইলো। ভিকি এবার গলা মোটা করে বললো - আসোলে আমার ফোনটা ভুল করে বাসায় রেখে এসেছি। কথা শেষ হবার আগেই মেয়েটি ব্যাগ থেকে নীল রঙের একটি বাটন ফোন বের করে হাত বাড়িয়ে দিলো। ফোনটি ছো মেরে তুলে নিয়ে ভিকি একমনে নাম্বার ডায়াল করে চললো।
কিছু সময় পর ওপাশে ছোট ভাই শিহাব বলে উঠলো - কে? ভিকি - আমি ভিকি। শিহাব - এএ কোন ভিকি? ভিকি (একটু আস্তে)- আরে বড় ভাই ভিকি! শিহাব - ও ভাই (হাসতে হাসতে), তা বলেন কতদূর কি হলো? ভিকি - আরে কি বলবো আর, ফোন তো বাসায় রেখে আসছি। শিহাব - বলেন কি ভাই! ভিকি - সেই তো, আর এখানে এক মেয়ের কাছ থেকে ফোন ধার নিয়ে তোমারে ফোন দিলাম। শিহাব (হেসে কুটিকুটি) - ডেট করতে এসে এক মেয়ের ফোন ধার নিয়ে অন্য মেয়েকে ফোন দেবেন! ভাই আপনিই পারবেন। প্রভু তু সি গ্রেট হো, তওফা কবুল কারো... শিহাব ফোনটি কেটে দিলো। ভিকি কয়েকবার হ্যালো বলে ড্যাম ইট বলে মোবাইলটা মাথায় টোকাতে লাগলো। এতোক্ষণে মেয়েটি ভিকির পাশে এসে বসে মুখের নেকাপ খুলে কানে পিন গুজে ভিকির দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে শুরু করেছে। ভিকি কিছু বলতে যাবে এমন সময় মেয়েটি বলে উঠলো - তো কেমন আছেন? ভিকি - এই তো আছি। মেয়েটি - তো এখানেই বসে থাকবেন না চা কফি কিছু খাবেন? ভিকি - শিওর, চলুন ঐ কফি শপে। বলেই ভিকি উঠে হাটতে শুরু করলো। মেয়েটিও ভিকির পিছে এগিয়ে চললো। ভিকি মনে মনে ভাবতে লাগলো - এই কি সেই মেয়ে, যার সাথে আমার দেখা হবার কথা আছে!
দুই. (ডন রেজোর অফিস)
What is web URL?
URL stands for Uniform Resource Locator. The full address of a website is expressed through URL. Basically the web document located on the server is identified through the URL. For example, the image named 123.jpg of the user xyz located on Facebook is identified through the URL https://www.facebook.com/xyz/123.jpg, so when a user clicks on this link, he / she will directly see the image.
Parts of URL:
1) http = protocol
2) www = host
3) facebook = domain name
4) .com = domain type
5) xyz = directory
6) 123.jpg = web document
There are two types of URL. 1) Absolute URL and 2) Relative URL
Absolute URL: Such URLs contain both the domain name and the directory path. Absolute URL is usually used to create external connection of website.
Syntax: protocol/domain name/path
Relative URL: Such URLs contain only the directory path without the domain name. Relative URL is usually used to create internal connection of website.
Syntax: "filename.ext" / ". /directory/filename.ext"
Example:
<img src= "c:\desktop\new folder/123.jpg">
Here the Absolute URL is applied inside the image tag.
<img src= "123.jpg">
Here the Relative URL is applied inside the image tag.
Assessment:
Copy any URL and mark it separately in different parts and comment it.
Importance of IT
Thursday, July 28, 2022
OR gate activities in Digital Electronics
Logic gate OR is an electrical circuit that combines two electrical signals so that the output is ON (1) if any one signal is present.
There are three symbols for OR gates: the American (ANSI or 'military') symbol and the IEC ('European' or 'rectangular') symbol, as well as the deprecated DIN symbol.
ANSI |
IEC |
DIN |
হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করলে কী সুবিধা পাওয়া যায়?
স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে তার দিয়ে একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেটি হলো হাব। অন্যদিকে বিভিন্ন কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্র থেকে আসা ক্যাবলগুলোকে এক সাথে যুক্ত করতে হাবের চেয়ে অধিক বুদ্ধিমান যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেটাই সুইচ। হাবের ক্ষেত্রে ডেটা কলিশন বা সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে এবং বেশিরভাগ ডেটা ফিল্টারিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করলে ডেটা কলিশনের সম্ভাবনা কমে এবং ডেটা ফিল্টারিং করাও সম্ভব হয় । এছাড়া হাবের পরিবর্তে সুইচের পোর্ট বেশি থাকে।
Tuesday, July 26, 2022
Basic structure of web page
Tags |
Description |
<!DOCTYPE html> |
Defines the document type. DOCTYPE html
means this document type is HTML |
<html> </html> |
Defines an HTML document. It's contain
all tags used on HTML. |
<head> </head> |
Contains metadata / information for the html document. |
<title> </title> |
Defines a title for the html document. |
<body> </body> |
Defines the document's body. |
<h1> </h1> |
Defines HTML headings. |
<p> </p> |
Defines a paragraph. |
Monday, July 25, 2022
মানুষের সফট কর্ণার আসলে কী?
AND Gate activities in Digital Electronics
Logic gate AND is an electrical circuit that combines two electrical signals so that the output is ON if both signals are present.
There are three symbols for AND gates: the American (ANSI or 'military') symbol and the IEC ('European' or 'rectangular') symbol, as well as the deprecated DIN symbol.DIN |
IEC |
ANSI |
Sunday, July 24, 2022
What is web page?
Concept of web page design
Saturday, July 16, 2022
কোন টপোলজিতে নোডসমূহ দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করে?
Friday, July 15, 2022
মানুষ বাটপার হয় কেন?
বাটপার শব্দটির সমর্থক শব্দ হচ্ছে প্রতারক। প্রতারক শব্দটিকে আরও বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে - যিনি অন্যের সাথে ছলনার আশ্রয় নেন। এখানে প্রশ্ন করা যায়, মানুষ কখন ছলনার আশ্রয় নেয়? উত্তরে বলা যেতে পারে, যখন সে তার প্রতিবন্ধকতা গুলো বুঝতে পারে। আচ্ছা এই প্রতিবন্ধকতা গুলো সৃষ্টি হয় কিসের ভিত্তিতে? উত্তর হচ্ছে - কোনো চাহিদার অপূর্ণতা থেকে। মানে, আমার চাহিদা আছে, কিন্তু ঐ জিনিসটা গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই! গ্রহণ করার ক্ষমতা যেকোনো কারনেই অপ্রতুল হতে পারে। এখানে শুধু অর্থ দিয়ে যাচাই করা যাবে না, বরং মানসিক, শারিরিক সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আনতে হবে। তার মানে একটু সাজিয়ে লিখলে এমন হয় যে, কোনো ব্যক্তি হয়তো মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে অথচ বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে তার মুখে ছোট্ট একটা হাসি সর্বদা লেগেই আছে! কোনো মানুষ শারিরিক ভাবে দুর্বল অথচ হুমকি ধামকিতে সে সবাইকে নাচিয়ে বেড়ায়! কেউ হয়তো অর্থ ধার নিয়েছে, কিন্তু সংকুলান না হওয়ায় পরিশোধ করতে অক্ষম! বাস্তবিকপক্ষে এরা সবাই বাটপার! যে পরিবারের কাছে মিথ্যা হাসে, সে পরিবারের সাথে প্রতারণা করছে, যে নিজেকে মিথ্যা প্রকাশ করছে সেও প্রতারণা করছে, আবার যে সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে পারিনি সেও কথার খেলাপ করেছে! এই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক অজানা বেদনার কাহিনী লুকিয়ে আছে। হ্যাঁ, আমাদের সুবিধাভোগী সমাজ এই অজানা কাহিনীর খোঁজ নেয় না। আর এভাবেই শত বেদনার গল্প মাটিচাপা দিয়ে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ হয়ে উঠছে বাটপার!
Wednesday, July 13, 2022
ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস পদ্ধতি সুবিধাজনক কেন? ব্যাখ্যা কর। | HSC ICT Chapter 2
ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সুবিধাজনক স্থানে আসার কারণ হিসেবে নিম্নের বিষয়গুলি উল্লেখ করা হলো -
১। এই ট্রান্সমিশনের দক্ষতা আনুপাতিকভাবে অনেক বেশি।
২। বিরামহীন ট্রান্সমিশন বৈশিষ্ট্যের জন্য এর গতি সাধারণত বেশি।
৩। প্রতিটি ক্যারেকটার ট্রান্সমিশনের জন্য সময় বিরতির প্রয়োজন হয়।
৪। প্রতিটি ক্যারেকটারের শুরু ও শেষে স্টার্ট ও স্টপ বিট এর দরকার হয় না।
৫। ডেটার আকার ছোট হয়, যার ফলে ডেটা-রেট বেশি থাকে, আর একারণেই ট্রান্সমিশনে সময় কম লাগে।
ভয়েসব্যান্ড মূলত কী? | HSC ICT Chapter 2
Ocena Ami | Short Stories
অচেনা আমি
মোঃ খালিদ বিন মাসুদ
(এই গল্পটি খুলনা কালচারাল সেন্টার এর ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)
দরজায় নক পড়তেই হন্তদন্ত হয়ে মা ছুটে এলেন। দরজা মেলেই এক গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো নিলয়ের প্রান্তের দিকে। মনের চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ-বেদনা যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে চাহনীর গভীরতায়। কিছু বলতে যেতেই প্রান্ত বলে উঠল – “মা, সরো! আমার কাজ আছে।” কথাটা বলেই প্রান্ত ঘরের ভেতর চলে গেলো।রাতে খাবার টেবিলে মায়ের চোখে পানি দেখে ঐশী আর সহ্য করতে পারলো না। ঐশী – “মা, ও-মা, আমি তোমার মেয়ে না? তুমি শুধু প্রান্ত প্রান্ত করো। ” মা চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল – “মা-রে, তোর বাবা যাওয়ার সময় বলেছিল – দে আর মাই স্পেশাল চাইল্ড, আই হ্যাভ লট অব ওয়ার্ক অন ম্যানকাইন্ড, টেক কেয়ার অব দেম। ” ঐশী রেগে গিয়ে বলল – “তারপর, তারপর তো সে কোনোদিন আমাদের খবর নেয় নি! সে বেঁচে আছে না মারা গেছে কিছুই জানি না। ” মা কিছু না বলে টেবিল থেকে উঠে গেলো।
Eclipse Ek Ojanay | Short Stories
ইক্লিপ্স এক অজানায়
খালিদ বিন মাসুদ
(এই গল্পটি খুলনা কালচারাল সেন্টার এর ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে পীচ ঢালা পথে হাঁটতে ভালোই লাগে। সেই সাথে শীতল হাওয়া যেন প্রতিবারেই মন কেড়ে নিচ্ছে। জনমানবশূন্য রাস্তায় একা হাঁটতে কিছুটা ভীতি কাজ করলেও বিহারীর মনটা বেশ ফুরফুরে। কেননা আজ নতুন একটা টিউশনির কথা আছে। বেকার আর বিজ্ঞানীদের মধ্যে মিল এখানেই। বিজ্ঞানীদের মন ফুরফুরে হয় কিছু আবিষ্কারের গন্ধে, এদিকে বেকারদের মন ফুরফুরে হয় টিউশনির গন্ধে! রাস্তায় চলতে চলতে এক পর্যায়ে এসে বিহারী দাঁড়িয়ে পড়লো। চট করে পকেট থেকে এক টুকরো কাগজ বের করে দেখলো – নাহ, ঠিকানা তো ঠিকই আছে। ঠিকানায় গলি ছিলো বামে, কিন্তু এখানে তো গলি ডানে। বামপাশে বিল ছাড়া কিছুই নেই। পরমুহুর্তেই বিহারী ভাবলো হয়তো সে রাস্তার বিপরীত দিক থেকে ঢুকেছে। তো আর কি করা, ডানে মোড় নিয়েই চলতে শুরু করলো বিহারী।গলিতে ঢুকেই বিহারী লক্ষ্য করলো তাপমাত্রা কেমন যেন দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। আকাশের এক প্রান্ত থেকে সুরু আলোর রেখা এসে খেলা করছে প্রকৃতির সাথে। গলির কুকুরটা হটাত চঞ্চল হয়ে উঠেছে। বিহারী মনেমনে ভাবছে – হায় ঈশ্বর! কোথায় এসে পড়লাম? এমন সময় সামনে টিমটিমে আলোর নীচেয় কাঠের দরজা দেখা গেলো। বিহারী দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেল।
Zombie The Beginning | Short Stories
জম্বি দ্য বিগিনিং
খালিদ বিন মাসুদ
(এই গল্পটি খুলনা কালচারাল সেন্টার এর ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)
গরম কফিতে চুমুক দিয়ে বেশ কিছু সময় চোখ বুজে রইলো ইনজাম। এসিসটেন্ট নাজিফার ঠোটে মুচকি হাসির দেখা মিলল। নাজিফা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভাবল কফিটা ভালোই হয়েছে। একে একে তিন চুমুক দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে তাকালো ইনজাম। ইনজামের অফিসের ফ্রন্ট ভিউটা দারুণ। সুউচ্চ টাওয়ারের টপ ফ্লোরে বিশাল থাই এর অপর প্রান্ত থেকে পড়ন্ত বিকেলের সূর্য ডোবা, এক অসাধারণ দৃশ্য! ইনজাম এই সময়টায় তার অফিসের সব লাইট অফ করে দেয় যাতে সূর্যের লাল আভায় তার অফিস মোহাচ্ছন্ন হয়ে ওঠে। যদিও বুদ্ধিটা তার ফ্রেন্ড গ্রাফিক্স ডিজাইনার কিংকরের কাছ থেকে ধার করা, তারপরও ইনজাম দারুণ উপভোগ করে বিষয়টি। নাজিফা ভাবলেশহীন কন্ঠে একটু কেশে বলল – স্যার আমি যাবো? ইনজাম তাকে অনুমতি দিয়ে আবার কফিতে চুমুক দিয়ে প্রকৃতির দিকে নিবিড় চাহনিতে তাকিয়ে রইলো।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে তবুও কিংকরের ফোন এলো না! ইনজাম ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৬:৩৭ বাজে। ইনজাম মনে মনে ভাবল এমনতো বিগত ২ বছরে হয়নি। তাহলে কিংকরের কি কোনো সমস্যা হলো? ভাবতে ভাবতে কখন যে ফোন চলে গেছে কিংকরের কাছে তা ইনজাম নিজেও জানে না। নাহ, কিংকর তো ফোন ধরছে না! এতক্ষণে ঘোর অন্ধকারে ঢেকে গেছে পুরো শহর। ইনজাম অফিসের লাইট জ্বালাতে গিয়ে লক্ষ্য করলো আজ রোড লাইট জ্বলেনি। এরিমধ্যে ফোনে ভাইব্রেট হচ্ছে।
Tuesday, July 12, 2022
LYCAN THE BEGINNING | Short Stories
লাইকানস দ্য বিগিনিং
খালিদ বিন মাসুদ
এক.
পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়তেই দলের সরদার তার তাবুতে ঘণ্টা বাজানো শুরু করলো। ঘণ্টার শব্দ শুনতেই সবাই ছুটোছুটি করে সরদারের তাবুর সামনে এসে দাঁড়ালো। সবার চোখেমুখে আতংকের চিহ্ন। সবাই একে অন্যের সাথে কানাঘুষা করতে লাগলো। কানাঘুষা সোরগোলে পৌঁছাতেই তাবুর ভেতর থেকে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠ ভেসে এল - "তোরা থামবি-ই।" এক মুহূর্তেই পিন পতন নিরাবতা নেমে এল। চারপাশে কেবল গাছের পাতার শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দই নেই। লাঠির ভরে খট খট আওয়াজ তুলে সরদার তাবুর বাইরে বের হয়ে বল্ল - "হিসসস! আর একটাও শব্দ না।" একটু থেমে –"তোরা কি ভুলে গেছিস শরৎ এসেসে, আর আজ শরতের প্রথম রাত। যা, গিয়ে উৎসবের আয়োজন কর।" ছোট্ট করে একবার শ্বাস নিয়ে –"আজ রাতে কেউ যেন না ঘুমায়।" আশপাশে তাকিয়ে –"এখন যা, দাঁড়িয়ে থাকলি কেন? উৎসবের প্রস্তুতি কর গিয়ে।" সবাই তাড়াহুড়া করে নিজের কাজ শুরু করে দিলো। সরদার তাবু থেকে বেরিয়ে একটি চেয়ারে বসে তার লাঠির উপর মুখটি ভর করে কাজের অগ্রগতি দেখতে লাগলো।ঘন জঙ্গলের মধ্যে একটি আগুনের আলোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে উঠেছে উপজাতিরা। ঢোলের তালে আগুনকে পরিক্রম করে উন্মাদের মতো নেচে চলেছে সবাই। ঢোলের আওয়াজ দূর থেকে ভেসে কানে এলো একজন ট্রাক ড্রাইভারের। শব্দ কানে যেতেই যেন ধড়ে প্রাণ ফিরে এলো ড্রাইভারের। সে ফিস ফিস করে ডাকল - "মতিন! ও মতিন। হেড লাইট টা জ্বালাবো নাকি বেটা?" মতিন-"আফনে ওস্তাদ। আফনে জেইডা ভালো বোঝেন সেইডাই করেন।" ড্রাইভার ভয়াল চোখে চারিদিকে চেয়ে কয়েকবার ঢোঁক গিল্ল। ট্রাক স্টার্ট দিয়ে হেড লাইট জ্বালাতেই চোখের সামনে দিয়ে ছায়ার মতো কয়েকটা কি যেন দ্রুত সরে গেল। ট্রাকের চারপাশ থেকে নেকড়ের ডাক কানে আসতে লাগলো। অবস্থা বেগতিক দেখে ড্রাইভার গাড়ি জোরে চালাতে শুরু করলো। মতিন চোখ বন্ধ করে ঈশ্বরকে ডেকে চলেছে। ড্রাইভার ঘামছে আর হাঁপাচ্ছে, তবুও গাড়ি চালাচ্ছে। হঠাৎ ড্রাইভার দেখল সামনের আকাশে রক্তিম আভা। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ভোর ৫টার কিছু বেশি সময় হয়েছে। ড্রাইভার-"ও মতিন। চোখ খোল। দেখ আমরা পারছি।" এমন সময় ট্রাকের চাকা গেতে গেল কাদায়। কড়া ব্রেক কষায় দুজনই বাড়ি খেলো গ্লাসের সাথে।
বহু কষ্টে চোখ খুলল ড্রাইভার। দেখে মতিন পাশেই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। এমন সময় পায়ের থপ থপ আওয়াজ দূর থেকে ধিরে ধিরে ওদের দিকে এগিয়ে এলো।
Monday, July 11, 2022
SOMOYER FATOL | Short Stories
সময়ের ফাটল
খালিদ বিন মাসুদ
(এই গল্পটি খুলনা কালচারাল সেন্টার এর ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)
এক.
দরজাটা টেনে লাগিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পড়লো অথি। পড়ন্ত বিকেলের লাল আকাশে দূরে চেয়ে কি যেন খুঁজছে তার চোখ। কিছু সময় ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে আপন মনেই বলে উঠল - “এমন কেন হবে?” অথি আবার হারিয়ে গেল ঐ আকাশে। এদিকে হু হু করে বইছে উত্তরে বাতাস। ঠাণ্ডার প্রকোপে অথির সম্বতি ফিরে এলো। সে এবার বারান্দা থেকে নেমে মাটির পথ ধরে এগুতে থাকলো। হাটতে হাটতে সে নিজেকে আপন মনে প্রশ্ন করলো - “প্রকৃতি যদি আমাদের সাথে এমন ছলনা করে, তবে আমরাও কি পারি না প্রকৃতির সাথে ছলনা করতে?” এমন সময় অথির সেলফোনে ভাইব্রেড হোলো। অথি - “হ্যালো। কে?” ওপাশ থেকে ছেলে কণ্ঠ - “কই তুই?” অথি - “ও হৃদয়। কেন কি দরকার?” হৃদয় (উত্তেজিত কণ্ঠে) - “আমরা সবাই ক্যাম্পাসে আছি। চলে আয়। একটা কিছু করতেই হবে!” অথি কলটি কেটে দিয়ে কাঠের গেট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ালো। পাশেই রিক্সা ছিল। রিক্সায় উঠতে গিয়ে সে আবার বাড়িটির দিকে ফিরে চাইল। এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিক্সাওয়ালাকে চালাতে বলল।
ভার্সিটি ক্যাম্পাসে সন্ধ্যায় সবাই চা আর টা এর আড্ডায় ব্যাস্ত। এতো লোকের মাঝে চারটি ছেলেমেয়ে নিশ্চুপ বসে আছে তাতে কারোরি মাথাব্যাথা নেই। বেশকিছু সময় এভাবে কাটিয়ে দেবার পর নিস্তব্দতা ভেঙে অনিক বলে উঠল - “এভাবে বসে থাকলে কি হবে? নিতু তোরা কথা বলছিস না কেন?” নিতু (কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে) - “আমি, আমি আর ভাবতে পারছি না। আমি জানি না কি হবে?” শান্ত - “দেখ যা হবার হবে। তাই বলে আমরা কি এভাবে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবো?” অথি - “হৃদয় টা কই গেল? আমাকে ফোনে আসতে বলে নিজেই উধাও! আজব!” নিতু - “অইতো হৃদয় তোর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।” অথি - “হৃদয় সামনে আয়। এভাবে লুকিয়ে থাকিস না।” হৃদয় সবার মাঝে এসে বসলো। একটু থেমে বলতে শুরু করলো - “দেখ। আমি ফিগার আউট করে ফেলেছি। দেখ, এই ভার্সিটি থেকেই ঘটনার শুরু হয়েছিলো।” অনিক - “তোহ?” হৃদয় - “আমরা যদি ফিরে যেতে পারি, মানে ...” শান্ত কথাটিকে ব্যাঙ্গ করলো। হৃদয় বিষয়টি ভ্রুক্ষেপ না করে আবার বলতে শুরু করলো - “আমরা যদি ফিরে যেয়ে ঘটনাটি ঘটতে না দেই” এবার হৃদয়ের কণ্ঠ ভিজে উঠল (কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে) - “আমাদের স্যার আমাদের ছেড়ে যাবে না। তোরা তো বুঝতে পারছিস আমি কি বলছি?”
সবাই এতো সময় হ্যাঁ করে হৃদয়ের কথা শুনছিল। নিরবতা ভেঙে অথি বলল - “কিভাবে যাব?” হৃদয় - “চল তোরা আমার সাথে। আমি দেখাব কিভাবে যেতে হয়।”
HELMET 7 | Short Stories
হেলমেট ৭ – (নিঃসঙ্গ গ্রহে এক প্রতীক্ষিত বর্ষাকে বরণ)
মোঃ খালিদ বিন মাসুদ
(এই গল্পটি খুলনা কালচারাল সেন্টার এর ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)
এক
এক ফোঁটা জল চোখের পাতায় পড়ায়, চোখ মেলে তাকালো দিথী। আকাশের দিকে চেয়ে প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলে হেলমেট ৭ কে প্রশ্ন করলো – কি মনে হচ্ছে? বর্ষা কি আসছে? হেলমেট ৭ – আসবে। হেলমেট ৭ এর উত্তর শুনে ও অবাক হয়। ভাবতে থাকে হেলমেট ৭ কেনো বলল না যে আজ বাতাসের গতি বেশি বা বাষ্পের পরিমান কম। আরো ভেবে অবাক হয় আমি কতটা অসহায়, আজ যন্ত্র আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে! দিথী আবার চোখ বন্ধ করে কিন্তু সাথে সাথেই চোখ মেলে এবং বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে থাকে। হেলমেট ৭ প্রশ্ন করে – আজো কি একই স্বপ্ন দেখলে? দিথী কাপা কাপা গলায় বলে – আমি কেন প্রতিদিন একই স্বপ্ন দেখি? হেলমেট ৭ – হয়তো তুমি মানুষ না, আমার মতো রোবট। দিথী তখন নিজের পেটের দিকে তাকায়। দেখে তার সন্তানেরা পেটের মধ্যে নড়াচড়া করছে। সে মনে মনে বলে – রোবট হলে কি আর সন্তান জন্ম দিতাম? দিথী, হেলমেট ৭ কে উদ্দেশ্য করে বলে – আচ্ছা তোর কি মনে আছে ঐ রাতে কি হয়েছিল? হেলমেট ৭ কোনো উত্তর দিল না। দিথী – তুই মিথ্যা বলাও শিখে যাচ্ছিস? হেলমেট ৭ – দ্বিতীয় চাঁদ উঠে গেছে। খাবার জোগাড় করতে যাচ্ছি। সাবধানে থেকো। দিথী বুঝলো হেলমেট ৭ তাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে। তাই সে আর কোনো কথা বাড়ালো না। ঘুণে খাওয়া একটা লাঠি নিয়ে বলল – যা, আমি ঠিক আছি। তাড়াতাড়ি চলে আসিস।হেলমেট ৭ গেছে অনেক সময় হয়েছে। সবুজ আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে দিথী। এই গ্রহে দ্বিতীয় চাঁদ ওঠার সাথে সাথেই আকাশের রঙ নীল থকে সবুজ হয়ে যায়। অর্ধেক ওঠা এই চাঁদের দিকে চেয়ে ও ভাবতে চেষ্টা করে সেদিন রাতে কি হয়েছিল?
Sunday, July 10, 2022
মারফির সূত্রের ব্যাখ্যা
মারফির সূত্র অনুযায়ী - "যা ভুল হতে পারে, তা ভুল হবে।" অর্থাৎ, এমন কোনো বিষয় যদি থাকে যেটা ভুল হিসেবে ধরা হয়, তা যতই সুযোগ পেয়ে থাকুক না কেন এরপরও সেটা ভুল হবেই।
প্যারানরমাল এক্টিভিটি আসলে কি?
প্যারানরমাল এক্টিভিটি বলতে নিজের চোখে দেখা অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বুঝায়। এখন বিষয় হচ্ছে - আমরা দেখতে পারি কি কি? মানে, আমাদের চোখের দেখার ক্ষমতা কতদূর? আমরা কি পৃথিবীতে অবস্থিত সকল ডাইমেনশনে কি হচ্ছে তা দেখতে পারি? উত্তর খুব সহজ, না। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে আমাদের চোখ অনেক সময় বিভিন্ন ডাইমেনশনে থাকা অপরিচিত অবজেক্ট সনাক্ত করে, আর এসব অবজেক্টকেই আমরা প্যারানরমাল এক্টিভিটি বলে থাকি।
মানুষ কি টাইম লুপে আটকে আছে?
কোনো কাজের পুনরাবৃত্তি বা বার বার একটা কাজ হওয়াকে লুপ বলে। এই ঘটনা যখন সময়ের ক্ষেত্রে হয় তখন তাকে টাইম লুপ বলে। অর্থাৎ, সায়েন্স ফিকশন মুভিতে যেমন দেখা যায় কোনো ক্যারেকটার বার বার একই কাজ করছে, এমনটাই! তবে, এক্ষেত্রে আমার মত ভিন্ন। সময় আসলে ভ্রম। কেননা সময়ের নির্দিষ্ট কোনো মানদন্ড নেই। এই যেমন সময় পৃথিবীতে এক রকম আবার চাদে এক রকম আবার মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি এর বাইরে গেলে সময়ের অস্তিত্বই নেই! এবার আসি টাইম লুপে, টাইম লুপে আমরা প্রতিনিয়ত পড়ছি। যেমন আমরা কিন্তু কোনো না কোনো কাজ প্রতিদিনই একইভাবে করি। হ্যাঁ, এখানে সময়ের কিছু প্যারাডক্স বা হেরফের আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - অফিসে, ক্লাস রুমে, রান্নাঘরে, বাজারে ইত্যাদি নিত্যদিনের ঘটনা একই ভাবেই ঘটে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এসব ঘটনা অন্যভাবে ঘটেনা! যেমন - বাজার করাটাই যদি অফিস করা হতো, আবার রান্না করাটাই যদি ক্লাস করা হতো - এমনই! কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এমনটা হচ্ছে না। তার মানে আমরা টাইম লুপে আটকে আছি...
মানুষই হচ্ছে অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
মানুষ হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া আর কিছুই না। মানুষ কে কেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলেছি, এর পেছনে আমার একটা লজিক আছে। আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে এমন কিছুকেই বুঝি যা তার গন্ডি পার হতে পারে না। মানে নিজের মতো করে কিছুই সে পারেনা। আমরাও পদার্থ বিদ্যার বিপরীতে কিছুই করতে পারি না। এরকম অসংখ্য লজিক আছে। আমরা যেখানেই আগাই, যেভাবেই আগাই, কোনো না কোনো পদ্ধতিতেই তো আগাতে হয়! কিন্তু কেন? কেন আমরা পদ্ধতির বাইরে কোনো মুভমেন্ট করতে পারিনা? আর, এর উত্তর খুব সহজ। আমরা অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
Saturday, July 9, 2022
নিজেকে উন্মোচিত করতে ভয় পাওয়ার দরকার
ভয়! এই শব্দের অনেক প্রতিশব্দ আছে, যেমনঃ শঙ্কা, আতঙ্ক, কুন্ঠা, সন্দেহ ইত্যাদি। আমার মনে হয় এই সবগুলো শব্দই কোনো কিছুকে অপ্রাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ, যেটা হবার কথা বা যেখানে যেটা থাকার কথা, সেটা যদি না হয় বা সেখানে যদি কিছু নাই থাকে তখনি আমাদের মনে চেপে বসে কুন্ঠা, আতঙ্ক ইত্যাদি। সম্ভবত তখন থেকেই আমরা মানুষেরা ভয় পেতে শুরু করি। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, বিষয়টি কিন্তু পশুপাখি বা উদ্ভিদকূলের মধ্যেও বিরাজমান। যেমনঃ যে গরুটি তার মালিকের খোয়াড়ে এক সুবোধ বালক সূলভ আচরণ করে, কেন সে পশুর হাটে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে? কোন গাছ টব ছেড়ে শেকড় কেন বাইরে নিয়ে আসে? আসলে এর সবই হচ্ছে অপ্রাপ্তি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভয়টা আসে কেন? নাই বা পূরণ হলো কিছু চাওয়া। একথা হয়তো আমাদের মতো সৃষ্টির সেরা জীবদের কিছু শেখা কথা। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে আমরাও তো জীব! অন্য জীবেরা কিন্তু স্বর্থপরের মতো নিজেরটাই চায়। মজার বিষয় হচ্ছে এই চাওয়া - ভয়, এসব থেকেই সৃষ্টি হয় বেপরোয়া মনোভাবের। "শুধু মানুষ না, প্রতিটি জীবকুলই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যখন সে ঘাবড়ে যায় - এক কথায় ভয় পেয়ে যায়।" তাহলে ভয় লাগে কেন? সত্যিকার অর্থে ভয় আসে নিজেকে উন্মোচন করতে। খাচার যে পাখিটা দরজা খোলা পায়, হাজার আপত্তি বা ভয় থাকা সত্ত্বেও সে কিন্তু উড়াল দেয় নিজেকে উন্মুক্ত করতে।
Welcome
Khalid’s Literature is a blog focused on thoughts writing, resources, and reviews of the latest human demand on the world. The content you find here will help you expand your own knowledge of different genres, improve your thinking skills, and inspire your creativity to get your work out into the world. This isn’t just about blog; it’s about the concept that makes you top in every place!
At Khalid's Literature, I am passionate about writing and its power to change the world. I believe that everyone has a story to tell, and I want to tell mine. I offer a new perspective on writing, one that is based on the principles of creativity, collaboration, and community. I'm here to share myself with the world.